সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪

সহবাস নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

সহবাস নিয়ে কিছু ভুল ধারণা


সহবাস বা যৌনসঙ্গম নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক রকম ভুল ধারণা, কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। এই ব্যাপারগুলো সংবেদনশীল মনে করে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করতেও অনেকে সংকোচ বোধ করেন। দেখা যায়, সহবাস নিয়ে ভুল ধারণাগুলোর ওপর ভিত্তি করে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর ফলে সৃষ্টি হয় নানান শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিক জটিলতা।

এই আর্টিকেলে সহবাস নিয়ে প্রচলিত কয়েকটি ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

গর্ভধারণ সংক্রান্ত ভুল ধারণা

১. সন্তান ধারণের জন্য প্রতিদিন সহবাস করতে হবে

অনেকের ধারণা বাচ্চা চাইলে প্রতিদিন যৌন মিলন জরুরী। তা না হলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়।

বিজ্ঞান যা বলে: একটা গবেষণায় দেখা গেছে—

  • প্রতিদিন সহবাস করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে – ৩৭ শতাংশ। 
  • একদিন পর পর সহবাস করলেও সফলতার সম্ভাবনা কাছাকাছি থাকে – ৩৩ শতাংশ। 
  • সপ্তাহে একবার সহবাস করলে সম্ভাবনা নেমে আসে মাত্র ১৫ শতাংশে। 

অর্থাৎ ঘন ঘন যৌন মিলনে সফলতার সম্ভাবনা বাড়ে, এবং প্রতিদিন বা ১ দিন পর পর চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ সম্ভাবনা থাকে। আর যদি Fertile Window বা গর্ভধারণের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সময় খুঁজে বের করে তখন ঘন ঘন চেষ্টা করা যায়, তাহলে আরও ভালো।

পড়ুন: মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে সন্তান হয়

তবে সবার পক্ষে এমন রুটিন মেনে বাচ্চার জন্য চেষ্টা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনেকের জন্য সেটা উপযুক্তও হবে না। নির্ভরযোগ্য তথ্যগুলো জেনে পরিস্থিতি অনুযায়ী যেটা ভালো হয়, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিবেন।

২. নির্দিষ্ট কিছু অবস্থানে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে

বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম কী? — এই প্রশ্নের একটি বহুল প্রচলিত উত্তর হলো মিশনারি অবস্থান। এই অবস্থানে সহবাসের সময় পুরুষ ওপরে ও নারী নিচে থাকে। এই অবস্থানে সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে দাবি করা হয়। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল প্রচারিত কিছু ভিডিওতে বিশেষ কিছু অবস্থানে সহবাসের মাধ্যমে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় সহবাস করলে, কিংবা সহবাসের পর মেয়েরা দৌড়ঝাঁপ করলে গর্ভধারণ সম্ভব হবে না — এমন ধারনাও প্রচলিত।

বিজ্ঞান যা বলে: এগুলোর কোনটাই সঠিক নয়। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা অবস্থানে সহবাস করলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেশি — এই দাবিগুলো মোটেও বিজ্ঞান সমর্থিত নয়।

সন্তান ধারণের জন্য শুক্রাণু যোনিপথ বা মাসিকের রাস্তায় পৌঁছানো প্রয়োজন। এমনকি বীর্য যোনিপথের কাছাকাছি পৌঁছলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। তাই যেসব অবস্থানে সহবাস করলে মাসিকের রাস্তায় বীর্যপাত হয়, কনডম বা অন্য কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার না করা হলে, সেসব অবস্থানের সবগুলোতে গর্ভধারণে সম্ভাবনা থাকে। কোন একটা অবস্থান অন্যটির চেয়ে বেশি ভালো বা কার্যকর — বিষয়টি এমন নয়।

যে অবস্থানেই সহবাস হোক না কেন, পুরুষের বীর্যপাতের পরে নারীর যোনিপথ থেকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রাণু পৌঁছে যায় জরায়ুমুখে। তাই নির্দিষ্ট একটা বা দুটো অবস্থানে সম্ভাবনা বেশি বা সেগুলো ছাড়া সন্তান হবে না, এমন কথা মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়।

৩. যোনিপথ দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসলে গর্ভবতী হওয়া যাবে না

অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন যে বীর্যপাতের পর মাসিকের রাস্তা দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসার অর্থ হলো সব শুক্রাণু সব বের হয়ে যাওয়া এবং নারীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়া। এই বেরিয়ে আসা বা ফ্লোব্যাক ঠেকানোর জন্য ইন্টারনেটে নানা পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ পাওয়া যায়, যেমন—

  • নারীকে আধা ঘণ্টা চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে হবে
  • কোমরের নিচে বালিশ দিয়ে উঁচু করে রাখতে হবে
  • শুয়ে পা দুটো উঁচু করে রাখতে হবে

এছাড়া অনেকে প্রশ্ন করে থাকে, সহবাসের পর কতক্ষণ শুয়ে থাকতে হয়। এসম্পর্কে ধারণা হলো সহবাস করার পর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে কিংবা পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে রাখলে শুক্রাণু জরায়ুতে পৌঁছতে পারবে।

বিজ্ঞান যা বলে: মাসিকের রাস্তা দিয়ে বীর্য বেরিয়ে আসাকে বলা হয় ফ্লোব্যাক। এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটি ঘটনা। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে ৯৪ শতাংশ সহবাসের পরেই এই ফ্লোব্যাক দেখা যায়। সেটা বিছানায় শোওয়া অবস্থায় হতে পারে, উঠে হাঁটতে গেলে হতে পারে, আবার প্রস্রাব করার সময়েও হতে পারে। এটা দুশ্চিন্তার কোন বিষয় নয়।

এজন্য বিশেষ কোনো কাজ করার বা বিশেষ অবস্থানে শুয়ে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। এমনকি শুক্রাণু জরায়ুতে পৌঁছানোর জন্যও বিশেষ কিছু করার প্রয়োজন নেই। শুক্রাণু সাধারণত দেহের গতানুগতিক প্রক্রিয়াতে যোনিপথ থেকে খুব দ্রুত জরায়ুতে পৌঁছে যায়। তাই এই বিশেষ কাজগুলোর কোনোটাই গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় এমন কোন প্রমাণ নেই। তবে এতে আপনার ভালো লাগলে করতেই পারেন।

মোট কথা, বীর্য বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বরং বাচ্চা নিতে চাইলে শুক্রাণু নারীদেহে একটা অনুকূল পরিবেশ পাচ্ছে কি না সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। মাসের কয়েকটা নির্দিষ্ট দিনে নারীদেহ শুক্রাণুর জন্য খুব সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে। মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে সন্তান হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গর্ভবতী হওয়ার সঠিক সময় আর্টিকেলটি পড়ুন।

৪. প্রথমবার সহবাসে কেউ গর্ভধারণ করে না

গর্ভধারণ করতে হলে বেশ কয়েকবার সহবাস করতে হয়—অনেকে এমন ধারণা পোষণ করেন। তাই প্রথমবার সহবাস করার সময় অনেকেই কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার করেন না।

বিজ্ঞান যা বলে: ধারণাটি সম্পূর্ণভাবে ভুল। বয়ঃসন্ধির সাথে সাথে, এমনকি প্রথম মাসিক শুরু হওয়ারও কিছুদিন আগে থেকে নারীরা গর্ভধারণের উপযুক্ত হয়। প্রথম ডিম্বপাতের সময় থেকে প্রথমবার বা কেবল একবার সহবাস করলেও সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে।

৫. বীর্য খেয়ে ফেললে প্রেগন্যান্ট হবার সম্ভাবনা থাকে

বিজ্ঞান যা বলে: বীর্য গিলে ফেললে গর্ভধারণ করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এক্ষেত্রে গনোরিয়া, হার্পিস, ক্ল্যামিডিয়াসহ বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিরাপদ থাকতে পুরুষদের কনডম ব্যবহার করা উচিত।

পায়ুপথে সঙ্গম বা অ্যানাল সেক্সের ক্ষেত্রে বীর্য যোনিপথের সংস্পর্শে না আসলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে না। তবে এক্ষেত্রেও কোনো সঙ্গীর এইচ আই ভি-এইডস, গনোরিয়া ও অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ থেকে থাকলে সুস্থ সঙ্গীরও এসব রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অনিরাপদ সহবাসে কনডম ব্যবহার করা উচিত।

৬. বীর্যপাতের পূর্বে পুরুষের যৌনাঙ্গ বের করে ফেললে নারী গর্ভবতী হবে না

বিজ্ঞান যা বলে: বীর্য মেয়েদের যোনিপথের বাইরে ফেললেই সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না—এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। এর ব্যাখ্যা হলো, বীর্যপাতের আগের উত্তেজিত (ইরেকশন থাকা) অবস্থায় পুরুষদের যৌনাঙ্গ থেকে কিছু তরল রস বের হয়, যেটিকে Pre-ejaculatory Fluid বলা হয়। এই রসে হাজারো শুক্রাণু থাকে। যা দ্বারা গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গর্ভধারণ এড়াতে চাইলে সুরক্ষা ব্যবহার করা প্রয়োজন।

৭. গর্ভধারণের জন্য সহবাসের পর অন্তত ১ ঘণ্টা যৌনাঙ্গ না ধুয়েই থাকতে হবে

অনেকে হয়তো শুনে থাকবেন, গর্ভবতী হতে চাইলে সহবাসের পর নারীদের অন্তত ১ ঘণ্টা পানি বা সাবান দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে শুক্রাণু ধ্বংস হয়ে যাবে, ফলে গর্ভধারণ সম্ভব হবে না।

বিজ্ঞান যা বলে: এই দাবিও ভিত্তিহীন। বীর্যপাতের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রাণু জরায়ুমুখে পাওয়া যায়। তাই এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার বিষয়টি অর্থহীন। বরং কুসুম গরম পানি দিয়ে সহবাসের পর নিজেকে পরিষ্কার করে নিলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যায়, যা প্রস্রাবের রাস্তার ইনফেকশন কমাতে সহায়তা করতে পারে।

সর্বোপরি সহবাসের মাধ্যমে যারা বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের ক্ষেত্রে গুজব এড়িয়ে চলে বরং মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। একটি উদাহরণ হলো দৈনিক ফলিক এসিড খাওয়া, যেন বাচ্চার ব্রেইন আর মেরুদণ্ডে জন্মগত ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। 

৮. যোনিপথ দিয়ে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ না করা হলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নেই

বিজ্ঞান যা বলে: যদিও যোনিপথ দিয়ে পুরুষের যৌনাঙ্গ প্রবেশ না করা হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুবই কম, তবুও এমন সহবাসে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া যাবে না। এমনটা হতে পারে যদি

  • যোনির খুব কাছাকাছি বীর্যপাত হয়, অর্থাৎ বীর্য যোনির সংস্পর্শে আসে
  • পুরুষের যৌনাঙ্গ উত্তেজিত (ইরেকশন) থাকা অবস্থায় নারীর যৌনাঙ্গের সংস্পর্শে আসে

বীর্য ও বীর্যপাতের আগের Pre-ejaculatory Fluid -এ থাকে অসংখ্য শুক্রাণু। এগুলো দেহের বাইরে বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। তবে কোনোভাবে যদি শুক্রাণু যোনিপথে ঢুকে যায় তাহলে তা জরায়ুর ভেতরে ঢুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করার মাধ্যমে সন্তান ধারণ করাতে সক্ষম।


পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা

১. প্রতিদিন বীর্যপাত করলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়

একটি প্রচলিত ধারণা হলো প্রতিদিন শারীরিক মিলনের ফলে পুরুষের বীর্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আবার অনেকের ধারণা হলো ঘন ঘন বীর্যপাত করলে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যায়। অনেকদিন পর পর বীর্যপাত করলে বীর্য ঘন মনে হয়, সেখান থেকে হয়তো এই ধারণার সূত্রপাত।

বিজ্ঞান যা বলে: প্রায় দশ হাজার বীর্যের স্যাম্পল নিয়ে করা একটা বড় গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন বীর্যপাতেও শুক্রাণুর সংখ্যা স্বাভাবিক থাকে। উপরন্তু ঘন ঘন সহবাস করলে বীর্যের জীনগত মান উন্নত হয়।

২. সহবাস না করলে অণ্ডকোষ ব্যথায় নীল হয়ে যায়, এমনকি ফেটে যেতে পারে

বিজ্ঞান যা বলে: এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। সহবাস না করার কারণে পুরুষ বা নারী কারো কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হয় না। পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ ফেটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

পুরুষদের দেহে সবসময় শুক্রাণু ও বীর্য তৈরি হতে থাকে। বীর্যপাত না হলে এই বীর্য শরীরে আবার শোষিত হয়ে যায়। সহবাস ছাড়াও হস্তমৈথুন ও স্বপ্নদোষের মাধ্যমেও বীর্যপাত হয়। তাই এমন অমূলক ভয় থেকে সহবাস করার কোনো প্রয়োজন নেই।

নারীর যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা

১. মাসিক হওয়ার সাথে সাথেই মেয়েরা সহবাসের উপযুক্ত হয়ে যায়

বিজ্ঞান যা বলে: এ ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। মাসিক শুরু হওয়ার অর্থ মেয়ে শিশু বড় হচ্ছে এবং সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে এই অবস্থায় মেয়েরা সহবাস করার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত কিংবা তাদের এই বয়স থেকেই সহবাস করা উচিত।

২. মাসিকের সময় সহবাস করলে নারীরা গর্ভবতী হয় না

এই কথাটি হয়তো অনেকেরই খুব পরিচিত। মাসিকের সময় যোনিপথ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় বলে অনেকে ধারণা করেন যে শুক্রাণু জরায়ুমুখে পৌঁছাবে না, বা পৌঁছালেও তা রক্তের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে।

বিজ্ঞান যা বলে: মাসিকের সময় নারীদের দেহের হরমোনগুলো যে অবস্থায় থাকে, তা গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত অবস্থার ঠিক বিপরীত। কিন্তু এরপরেও মাসিকের সময় সহবাস করার ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে।

এর কারণ হলো বীর্যপাতের পর শুক্রাণু নারীদেহে পাঁচ-ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তাই যদি নারীদের ওভুলেশন বা ডিম্বপাত নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়ে যায়, তাহলে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে সন্তান ধারণ করা অসম্ভব কিছু নয়।

গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীদেহ মাসিক হওয়ার চতুর্থ দিন থেকেই গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই মাসিক চক্রের যেকোনো সময়েই একজন নারী গর্ভধারণ করতে পারেন।

৩. প্রথমবার সহবাসের সময় সব নারীরই যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত হয়

একটি বহুল প্রচলিত ধারণা হলো— নারীরা প্রথমবার সহবাস করার সময় তার যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত হয়, এটি নারীর কুমারিত্ব বা ভার্জিন হওয়ার অন্যতম প্রধান নির্দেশক। যোনিপথে সতিচ্ছদ বা হাইমেন অক্ষত থাকার অর্থ মেয়েটি ভার্জিন, আর যোনিপথের ছিদ্র আকারে বড় হলে মেয়েটি কুমারী নয় — এমন বিশ্বাস পোষণ করা হয়ে থাকে।

বিজ্ঞান যা বলে: এমনটা সবসময় ঘটে না। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রথমবার দৈহিক মিলনের পর মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হয়, আবার অনেকের এমনটা হয় না। দুটোই সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক ঘটনা। এর সাথে কুমারিত্বের সম্পর্ক নেই।

নারীর যোনিপথের মুখে হাইমেন বা যোনিচ্ছদ বা সতীচ্ছদ নামের একটি পর্দা থাকে। এটি পাতলা চামড়ার মত একটি পর্দা যা যোনিপথের মুখকে আংশিকভাবে ঢেকে রাখে। যোনিচ্ছদ কিছুটা নমনীয়, অর্থাৎ টান পড়লে সামান্য বড় হতে পারে।

আরও জানুন: দীর্ঘ সময় মিলন করার উপায়

সকল নারীর হাইমেন একই রকম হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সতীচ্ছদ যোনিপথের মুখকে চারিদিক থেকে আংশিকভাবে ঢেকে রাখে। তবে অনেকের দেহে এই পর্দাটি একেবারেই থাকে না। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে হাইমেন যোনিপথকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে, যা সহবাস কিংবা ট্যাম্পন ব্যবহারে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে পর্দাটি অপারেশনের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হতে পারে। 

প্রথম সহবাসের সময়ে নারীর সতীচ্ছদকে পুরুষের যৌনাঙ্গ ভেদ করলে সতীচ্ছদে টান পড়তে বা সেটি ছিঁড়ে যেতে পারে। এর ফলে যোনিপথে সামান্য ব্যথা বা রক্তপাত হতে পারে। আবার কখনও সহবাস না করলেও অন্যান্য কিছু কারণে হাইমেনে টান পড়ার কিংবা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সতীচ্ছদ ছিঁড়ে গেলে কিংবা তাতে টান লাগলে একজন নারী সবসময় বুঝতে পারে না, কারণ এসব ক্ষেত্রে সবসময় ব্যথা হবে বা লক্ষণীয় পরিমাণে রক্তপাত হবে ব্যাপারটি এমন নয়। জীবনে প্রথমবার সহবাসের পূর্বেই যেসব স্বাভাবিক কারণে নারীদের সতীচ্ছদ সহজেই ছিঁড়ে যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে—

  • বিভিন্ন ধরনের শারীরিক খেলাধুলার ফলে
  • ঘোড়ায় চড়লে
  • মাসিকের সময় ট্যাম্পন ব্যবহার করলে
  • হস্তমৈথুন করলে

তাই যোনিপথে রক্তপাত বা হাইমেনের ওপর ভিত্তি করে কুমারিত্ব নির্ধারণের প্রচলিত প্রক্রিয়াটি ভুল, অপ্রয়োজনীয় এবং অমূলক।

সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

স্থায়ীভাবে পুরুষাঙ্গ মোটা ও লম্বা করার ১০০% পরীক্ষিত প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়

স্থায়ীভাবে পুরুষাঙ্গ মোটা ও লম্বা করার ১০০% পরীক্ষিত প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়

অনেক পুরুষ মনে করেন যে লিঙ্গ মোটা ও লম্বা হওয়া তাকে অনেক বেশি সুখী ও আকর্ষনীয় করে তুলবে। কিন্তু, কথাটি সম্পূর্ণ ভুল | আপনি তখনি সুখী হবেন যখন আপনার লিঙ্গ উথান জনিত কোনো সমস্যা থাকবে না । লিঙ্গ মোটা ও লম্বা হওয়ার চেয়ে জরুরি লিঙ্গ অনেক বেশি শক্ত হওয়া। আজ থেকে লিঙ্গের সাইজ নিয়ে কখনোই দুশ্চিন্তা করবেন না । পুরুষের মোটা লিঙ্গ ও ছোট লিঙ্গ নিয়ে কিছু কথা পরিষ্কার করা যাক –


  • ১. Clemson University এর এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ,পুরুষের এভারেজ লিঙ্গের আকার প্রায় ৫.১ ইঞ্চি ।
  • ২. অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ৯০% মহিলারা তাদের পার্টনার এর লিঙ্গের সাইজ নিয়ে এতটা ভাবেন না । কারণ, সেক্স বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা । আপনি একটি নারীকে লম্বা মোটা লিঙ্গ দিয়ে ৩-৪ ঘন্টা ধরে ইন্টারকোর্স করলেই যে সে আনন্দ পাবে এর কোনো গ্যারান্টি নেই । বিশ্বাস না হলে আপনার যৌন সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন । সেক্স করার পূর্বে দেখতে হবে আপনার নারী পার্টনার সেক্স করার জন্য প্রস্তুত কিনা নতুবা সারাদিন সঙ্গম করেও আপনি তাকে আনন্দ দিতে পারবেন না । সেক্স এডুকেশন নিয়ে অন্য কোনো আর্টিকেলে আমরা এই বিষয় গুলো নিয়ে জানার চেষ্টা করবো ।
  • ৩.৮৫% নারী তাদের সঙ্গীর লিঙ্গের যে আকার আছে সেটা নিয়েই তারা সুখী । তাই লিঙ্গ মোটা হওয়ার চিন্তায় পরে থাকবেন না । আপনার উচিত পুষ্টিকর ভেষজ খাদ্য খাওয়া যেন সঙ্গমের সময় কোনো লিঙ্গ উথান জনিত সমস্যায় না পড়েন ।
  • ৪. শুধুমাত্র ৫৫% পুরুষ তাদের লিঙ্গের আকার নিয়ে সন্তুষ্ট । তাহলে বাকি ৪৫% কি অসুখী? আসলে তারাও সুখী কিন্তু তাদের মনে ভয় , এই বুঝি তারা ছোট লিঙ্গ নিয়ে তাদের সঙ্গীকে তৃপ্তি দিতে পারবে না । আল্লাহ মহান, মেয়েদের এমন ভাবে তৈরি করেছেন যে তাদের যৌনির ভিতর দেড় ইঞ্চি পরেই যে খাঁজকাটা থাকে তা লিঙ্গের ঘর্ষণ লাগলেই নারী তৃপ্তি পায় । যাদের লিঙ্গ চিকন তারা পজিশন চেঞ্জ করে সঙ্গম করতে পারেন যেমন নারী উপরে পুরুষ নিচে। মনে রাখবেন, লিঙ্গ মোটা ও লম্বা হওয়া কোনো গুরুত্তপূর্ণ বিষয় না । আজ থেকে আপনার যা আছে তাই নিয়েই সুখে থাকার চেষ্টা করুন ।

লিঙ্গ কি?

লিঙ্গ বড় করার উপায় জানার আগে আমাদের জানতে হবে লিঙ্গ জিনিসটা কি। লিঙ্গ হল যে কোন প্রাণীর পরিচয় একটি মাধ্যম। তবে আজকে আমরা জানবো মানব প্রজাতির শনাক্তের লিঙ্গ।

লিঙ্গ জিনিসটা হল নারীর নারীত্ব, এবং পুরুষের পুরুষত্ব বিষয়ক পার্থক্যকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। শরীরের নানা বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে লিঙ্গ পরিচয় ঘটলেও সবাই বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ এর উপর নির্ভর করে বৈশিষ্ট্যগুলো জৈবিক যৌনতা। যেমন নারী ও পুরুষের ওপর নির্ভর করে লিঙ্গ পরিচয় দেয়।

লিঙ্গর প্রকারভেদ

লিঙ্গ বড় করার উপায় জানার আগে আমাদের জানতে হবে লিঙ্গ প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে। নিচে লিঙ্গ কত প্রকার ও কি কি দেওয়া হল।

লিঙ্গ মোটা চার প্রকার।

  • পুরুষ লিঙ্গ
  • স্ত্রীলিঙ্গ
  • উভয় লিঙ্গ
  • ক্লীব লিঙ্গ

আরো জানুন: মেয়েদের দ্রুত যৌন তৃপ্তি দেওয়ার পরীক্ষিত উপায়

লিঙ্গ কি আসলে বড় করা যায়

লিঙ্গ বড় করার উপায় জানার আগে আমাদের জানতে হবে আদৌ লিঙ্গ কি বড় করা যায়। আমাদের মধ্যে অসংখ্য ভাইয়ের মনে। এই প্রশ্ন আজকে এই প্রশ্নের জবাবটা দিব হ্যাঁ লিঙ্গ বড় করা যায়। আমরা চাইলে দুইভাবে লিঙ্গ বড় করতে পারি। আর এই লিঙ্গ বড় করার উপায় হল দুইটি। যথা,

  • অপারেশনের মাধ্যমে লিঙ্গ বড় করা
  • প্রাকৃতিক উপায়ে লিঙ্গ বড় করা

অনেকে এমন আছেন যে আপনার লিঙ্গের সাইজ ঠিক আছে কিন্তু তবুও লিঙ্গ বড় করতে চাচ্ছেন। আবার অনেকেই জানে না লিঙ্গের সাইজ টা কেমন হয়। লিঙ্গ বড় করার উপায় জানার আগে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কাদের এই কাজটা করা দরকার। তাই আজকে আমরা এই লিঙ্গ বড় করার উপায় আর্টিকেলে লিঙ্গের সাইজ সম্পর্কে হালকা একটা ধারণা নিব।

আরো জানুন: দীর্ঘ সময় মিলন করার উপায়

লিঙ্গের সাইজ

লিঙ্গের পারফেক্ট সাইজ হল 2 ইঞ্চি থেকে স্থানভেদে 11 ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কেননা এশিয়া মহাদেশের পুরুষের এভারেজ লিঙ্গের সাইজ 4 ইঞ্চি থেকে 5 দশমিক 2 ইঞ্চি হয়ে থাকে। এর মধ্যে অনেকের আবার ছয় থেকে সাত ইঞ্চি ও হয়ে থাকে। লিঙ্গের সাইজ ছোটখাটো হলেও স্ত্রীকে তৃপ্তি দেওয়া সম্ভব। আমাদের মধ্যে এমন অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন 2 ইঞ্চি লম্বা পেনিস নিয়ে স্ত্রীকে সন্তুষ্টি করা সম্ভব। তাই বলা যায় যে বিভিন্ন দেশে পুরুষের বিভিন্ন ধরনের লিঙ্গের সাইজ হয়ে থাকে।

পেনিস কত প্রকার

পেনিস এর প্রকার সমূহ

  • পেন্সিল পেনিস
  • কোন পেনিস
  • বানানা পেনিস
  • হেমার পেনিস
  • সসেজ পেনিস
  • কিউকাম্বার পেনিস

পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গ মোটা করার ঘরোয়া উপায়

ম্যাসেজ ব্যায়াম

এই ধরণের ব্যায়ামে, লিঙ্গে লুব্রিকেন্ট প্রয়োগ করা হয় এবং আলতোভাবে ম্যাসাজ করা হয়। এই ব্যায়ামটি আপনার লিঙ্গের ত্বককে প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়, যা লিঙ্গের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আরো ভালো ফলাফল পেতে খাঁটি মধু দিয়ে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। কিন্তু আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এই ম্যাসেজ ব্যায়াম করার সময় আপনি উত্তেজিত হয়ে হস্তমৈথুন করবেন না, এতে করে কিন্তু উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হয়ে যাবে।

জেলকিং ব্যায়াম

জেলকিং হল লিঙ্গ বড় করার ব্যায়াম, যার মাধমে লিঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাড়ানো এবং এর টিস্যু প্রসারিত করা হয়। লিঙ্গের আকার বাড়ানোর জন্য, প্রতিদিন অন্তত একবার এটি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কিভাবে আপনি এই জেলকিং ব্যায়াম করবেন তা নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলঃ

  • ওয়ার্ম-আপ: ব্যায়াম শুরু করার আগে ওয়ার্ম আপ করা জরুরি। আপনি গরম পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে, আপনার লিঙ্গের চারপাশে মুড়ে ৫-১০ মিনিটের জন্য রেখে তারপর ব্যায়াম শুরু করতে পারেন।
  • তৈলাক্তকরণ: হাতের তালুর ঘষা বা আঘাত প্রতিরোধে আপনি কিছুটা লুব্রিকেন্ট বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করে নিতে পারেন।
  • লিঙ্গ প্রস্তুত করন: আস্তে আস্তে লিঙ্গে হাত বুলিয়ে লিঙ্গ ৫০-৭০ ভাগ উত্তেজিত বা খাড়া করতে হবে। কিন্তু এটি কোনভাবেই সম্পূর্ণরূপে খাড়া হওয়া উচিত নয়, কারণ এটি আঘাত লাগতে পারে।
  • গ্রিপ: আপনার বুড়ো আঙুল এবং তর্জনী দিয়ে একটি “OK” চিহ্ন তৈরি করুন এবং আপনার লিঙ্গের গোড়ায় গ্রিপ রাখুন।
  • জেলকিং মোশন: আপনার লিঙ্গের গোড়া থেকে আস্তে আস্তে চাপ প্রয়োগ করে লিঙ্গের মাথার দিকে গ্রিপ নিয়ে আসুন। এভাবে করে ২০-৩০ বার করুন এবং এরপর আপনার হাত বদল করুন। এভাবে আবার ২০-৩০ বার করুন। একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন কখনো খুব বেশি উত্তেজনা অনুভব করলে হাত সরিয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন কোনো ক্রমেই হস্তমৈথুন করা যাবে না।
  • বিশ্রাম: ব্যায়াম শেষ করার পর আপনি একটি উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে আবার আপনার লিঙ্গ আলতোভাবে ম্যাসাজ করে এটি করতে পারেন। এতে করে আপনার লিঙ্গ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে জেলকিং ব্যায়াম অতিরিক্ত করা বা সঠিক কৌশল অনুসরণ না করা আঘাতের কারণ হতে পারে। তাই ধীরগতিতে শুরু করা এবং ধীরে ধীরে অনুশীলনের তীব্রতা এবং সময়কাল বৃদ্ধি করা ভাল।

আরো জানুন: সবচেয়ে ব্যাপক সমস্যা মেয়েদের উওেজনা বোঝার উপায়

স্ট্রেচিং ব্যায়াম

এই ব্যায়ামটি গরুকে দুধ ধোয়ানোর মতো। এটি একটি সেরা ব্যায়াম যা দ্রুত ফলাফল পেতে সাহায্য করতে পারে। এই ব্যায়ামের ফলে আপনার লিঙ্গ বড় ও মোটা করা সম্ভব। এটি এক ধরনের জেলকিং ব্যায়াম, তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার থাম্ব (বৃদ্ধাঙ্গুলি) এবং তর্জনী ব্যবহার করা হয়।

কিভাবে আপনি এই স্ট্রেচিং ব্যায়াম করবেন তা নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলঃ

  • ওয়ার্ম-আপ: ব্যায়াম শুরু করার আগে ওয়ার্ম আপ করা জরুরি। আপনি গরম পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে, আপনার লিঙ্গের চারপাশে মুড়ে ৫-১০ মিনিটের জন্য রেখে তারপর ব্যায়াম শুরু করতে পারেন।
  • তৈলাক্তকরণ: হাতের তালুর ঘষা বা আঘাত প্রতিরোধে আপনি কিছুটা লুব্রিকেন্ট বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করে নিতে পারেন।
  • স্ট্রেচিং মোশন: বুড়ো আঙুল এবং তর্জনী ব্যবহার করে আপনার লিঙ্গটি আপনার শরীর থেকে আলতো করে টানুন এবং ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। মোট ৫-১০ পুনরাবৃত্তির জন্য এই গতিটি বিভিন্ন দিকে (উপর, নীচে, বাম এবং ডানে) পুনরাবৃত্তি করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিটের জন্য এই অনুশীলনটি করতে পারেন। একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন কখনো খুব বেশি উত্তেজনা অনুভব করলে হাত সরিয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন কোনো ক্রমেই হস্তমৈথুন করা যাবে না।
  • বিশ্রাম: ব্যায়াম শেষ করার পর আপনি একটি উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে আবার আপনার লিঙ্গ আলতোভাবে ম্যাসাজ করে এটি করতে পারেন। এতে করে আপনার লিঙ্গ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।

পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গ বড় করার ডাক্তারি উপায়

লিঙ্গ বড় করার সার্জারি

একটি লিঙ্গ বৃদ্ধির সার্জারি দুটি উপায় নিয়ে গঠিত যেমন:

১. লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বাড়াতে শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে চর্বি কোষ ধার করা। এই পদ্ধতিতে আপনার শরীর থেকে চর্বি নিয়ে আপনার লিঙ্গে ইনজেক্ট করা হবে, যার ফলে আপনার লিঙ্গের প্রস্থ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই পদ্ধতিটি খুব বেশি রেকমেন্ড করা হয় না, কারণ এই পদ্ধতির কার্যকারিতা খুব বেশি নয়।

২. লিগামেন্ট কেটে দিয়ে লিঙ্গ বড় করা: লিঙ্গ বড় করার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, একজন সার্জন লিগামেন্টটি কেটে ফেলেন যা লিঙ্গকে পিউবিক হাড়ের সাথে সংযুক্ত করে, লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে। কিন্তু মজার বিষয় হল এই পদ্ধতিও অনেক ডাক্তার কার্যকারী বলে মনে করেন না।

এছাড়াও পেনিস ইনজেকশন ও পেনিস ইমপ্ল্যান্ট এর মাধমেও আপনি চাইলে আপনার লিঙ্গ বড় করতে পারেন।

কিন্তু একটি বিষয় না বললেই নয় যে, এই সকল ডাক্তারি উপায় সত্যিকার অর্থে কতটা কার্যকর তা নিয়ে অনেক মতো পার্থক্য রয়েছে। তাই আমার মতে ডাক্তারি উপায় চেষ্টা করার আগে আপনি ঘরোয়া উপায়ে লিঙ্গ বড় করার পদ্ধতিগুলি করে দেখুন। এরপর যদি আশানুরূপ ফল না আসে যে ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিন।

শেষ কথা

লিঙ্গ একজন পুরুষের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই আপনার উচিত এর পরিপূর্ণ যত্ন নেয়া। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখা। উপরের আলোচনার মাধ্যমে আমি চেষ্টা করেছি লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ বড় ও মোটা করার ঘরোয়া ও ডাক্তারি ২টি দিকই আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। আশা করছি আপনি এই উপায়ে আপনার লিঙ্গকে বৃদ্ধি ও মোটা করতে পারবেন।

কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের এই অঞ্চলের পুরুষদের লিঙ্গ কিছুটা ছোট। তাই অযথা ইউরোপ ও আফ্রিকা দেশের পুরুষদের মতো লিঙ্গ আশা করাটা মোটেই যৌক্তিক নয়। এতে করে আপনি বিভিন্ন মানুষিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাই চেষ্টা করুন নিয়মিত স্বাস্থবিধি মেনে চলতে, যে কোনো নেশা জাতীয় দ্রব (সিগারেট, মদ) গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন, শাকসবজি ও ফলমূল বেশি পরিমানে খান, এবং নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন।

মনে রাখবেন, আপনার পুরুষাঙ্গই কিন্তু একমাত্র বিষয় না, যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্ত্রী বা জীবন-সঙ্গীনিকে সুখী করতে চাচ্ছেন। স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে হলে আপনাকে আরো অনেক বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে, যা নিয়ে অন্য আর একদিন আলোচনা করবো।

এই আর্টিকেলটি সংগ্রহ করা হয়েছে  cgdhaka

সহবাস নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

সহবাস বা যৌনসঙ্গম নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক রকম ভুল ধারণা, কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। এই ব্যাপারগুলো সংবেদনশীল মনে করে গুরুত্বপূর্...